পটুয়াখালীর দশমিনায় পথ ভুল করে আসা সাত বছরের শিশু তানজিলা বাবা-মায়ের কাছে ফিরতে চায়। তার কান্না আর আহাজারি থামাতে পারছেন না আশ্রয়দাতারা।
গত ৯ দিন ধরে শিশুটি উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নের রনগোপালদী গ্রামের অগ্নিগাইন নামে এক ব্যক্তির আশ্রয়ে রয়েছেন। তানজিলা স্থানীয়দের জানায়, ঢাকার কমলাপুর এলাকার বৌদ্ধ মন্দিরের পাশের একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করত সে। তানজিলাকে তার বাসার সামনে থেকে দুই ব্যক্তি চিপস খাইয়ে অচেতন করে লঞ্চযোগে দশমিনায় নিয়ে আসেন।
তানজিলা জানায়, তার বাড়ি ঢাকার কমলাপুর এলাকায়। তার বাবা ইব্রাহীম খলিল ও মায়ের নাম আমেনা খাতুন জোসনা। বাবার প্রসাধনী সামগ্রীর দোকান। গত ২২ মার্চ তার মায়ের পরিচিত দুই ব্যক্তি তাকে চিপস খাইয়ে অচেতন করে লঞ্চযোগে উপজেলার রনগোপালদী ইউনিয়নে নিয়ে আসে। তানজিলা ঘুম থেকে ওঠে চিৎকার করলে ওই দুই ব্যক্তি তাকে উলানিয়া বাসস্ট্যান্ডে রেখে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় একটি হোটেল ব্যবসায়ী তানজিলাকে উদ্ধার করে রাতে খাবার খাইয়ে তার ঘরে আশ্রয় দেয়। পর দিন সকালে তানজিলা রনগোপালদী বাজারে এসে মোটরসাইকেল স্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি করলে স্থানীয় অগ্নিগাইন নামে এক পান ব্যবসায়ী তাকে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে নিয়ে গেলে চেয়ারম্যান নাসির সিকদার বিষয়টি দশমিনা থানা পুলিশকে জানান।
দশমিনা থানা পুলিশ মেয়েটির সব কথা শুনে তার ছবি তুলে রেখে অগ্নিগাইনের জিম্মায় দিয়ে দেন। মেয়েটির জিম্মাদার অগ্নিগাইন বলেন, শিশুটি তার বাবা-মায়ের কাছে ফিরে যেতে কান্নাকাটি করছে। এ বিষয়ে দশমিনা থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান বলেন, মেয়েটির পরিবারের খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তার পরিবারকে না পাওয়া গেলে সেফহোমে পাঠানো হবে।